1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান সায়মার

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১৯০ Time View

জলবায়ু পরিবর্তন ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলায় সিভিএফ-কপ২৬ সহনশীলতা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরামের (সিভিএফ) থিম্যাটিক দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন।

গত সোমবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত সিভিএফের এক উচ্চ স্তরের সংলাপে তিনি এ আহ্বান জানান। বুধবার (২ ডিসেম্বর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সায়মা ওয়াজেদ বলেন, প্রতিবন্ধী, স্বাস্থ্য সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাসের লোকজনসহ অত্যন্ত দুর্বল এবং প্রান্তিক ব্যক্তি ও সম্প্রদায়কে জলবায়ুজনিত বিপর্যয়ের মানসিক আঘাত সহ্য করতে সহায়তায় আমাদের অবশ্যই জলবায়ুর সর্বোত্তম অনুশীলন থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। লন্ডনে নবগঠিত সিভিএফ হাইকমিশনার/অ্যাম্বাসেডরস ফোরামের অংশ হিসেবে ইউকে এফসিডিওতে পরিবেশ ও কপ২৬-এর প্রশান্ত মহাসাগর বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড জ্যাক গোল্ডস্মিথ, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, সিভিএফ বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতা গোষ্ঠীর চেয়ার এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. সালিমুল হক এবং অ্যাডাপ্টেশন সম্পর্কিত গ্লোবাল সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. প্যাট্রিক ভার্কোইজেন সংলাপের উচ্চ পর্যায় অংশে বক্তব্য রাখেন।

সংলাপে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরামে বাংলাদেশ প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। লন্ডনে অবস্থিত সিভিএফ-এর ৪০ সদস্য রাষ্ট্রের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূত এবং কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী লর্ড জ্যাক গোল্ডস্মিথ দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে যুক্তরাজ্যের উচ্চাকাঙ্ক্ষী জলবায়ু কর্মপরিকল্পনার পাশাপাশি ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-শূন্য নিঃসরণের ওপর জোর দেন। যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী তার সাম্প্রতিক ভার্চুয়াল বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের প্রকৃতিভিত্তিক সহনশীলতা কর্মসূচির প্রশংসা করেন। সিভিএফ দেশগুলোর উচ্চাভিলাষী অভিযোজন ও সহনশীলতার পরিকল্পনাকে সহায়তায় বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, কার্বন নিঃসরণে দায় নগণ্য হলেও বাংলাদেশ এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্ব এবং জনগণের সাহস ও শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ অভিযোজন ও প্রশমন উভয় ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তুলতে কারো সাহায্যের অপেক্ষায় না থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশের নিজস্ব ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত ও ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০ প্রণয়ন করেন। এছাড়া ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে মুজিব প্ল্যানেটারি সমৃদ্ধির দশক (২০২০-৩০) এবং অ্যাকশন প্ল্যান ঘোষণা করেন।

সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য জলবায়ু অংশীদারি ফোরামের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিভিএফ প্রেসিডেন্সি হিসেবে বাংলাদেশ সংগঠনটির সদস্য দেশগুলোর ১.২ মিলিয়ন অসহায় মানুষের জন্য আরও স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে কপ২৬ প্রেসিডেন্সি হিসেবে যুক্তরাজ্যের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে।

বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, সিভিএফের সব দেশ যখন আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জলবায়ু সংকট ও করোনা মহামারি মোকাবিলা করছে, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এ বছর বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের জন্য জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।

আবুল কালাম আজাদ তার বক্তব্যে ২০১১-১৩ সালে প্রথম সিভিএফ প্রেসিডেন্সি, মিডনাইট সার্ভাইভাল ডেডলাইন, সিভিএফ-কপ২৬ সহযোগিতা, জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং সিভিএফ কার্যক্রমের আপডেটসহ বাংলাদেশের সিভিএফ প্রেসিডেন্সির পাঁচটি মূল ক্ষেত্রের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিভিএফ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখা এবং অভিযোজন সহায়তা, উচ্চতর অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য সুষম তহবিল গঠন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে একটি নিবেদিত ফোরাম গঠনের উচ্চাভিলাষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন।

সূত্র : বাসস

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..